জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ পরিবারের জন্য সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ঈদ উপহার

Tanjin Tanju    |    ০৬:০৬ পিএম, ২০২০-০৫-২২


জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ পরিবারের জন্য সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ঈদ উপহার

মহামারী করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতি ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সম্মুখ সারিতে বরাবরই মোকাবিলা করেন পুলিশ সদস্যরা। কর্তব্যরত অবস্থায় পরিবার-প্রিয়জনের মায়া ত্যাগ করে উৎসর্গ করেন নিজের জীবন।

শুক্রবার  (২২ মে) প্রিয়জন হারানো চট্টগ্রাম ট্রাফিক বন্দর বিভাগের পুলিশ সদস্য নঈমুল হকের পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বন্দর বিভাগ ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিপিএম, পিপিএম এর নির্দেশনায় ট্রাফিক বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক আহম্মেদ, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক (টি আই প্রশাসন) মশিউর রহমান ও সার্জেন্ট প্রসিকিউশন মিজানুর রহমানের নিজস্ব অর্থায়নে নিহত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নঈমুল হক এর পরিবারের কাছে এবং করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সার্জেন্ট মো. পারভেজ ও সার্জেন্ট ওয়াহিদুর রহমানের কাছে এই উপহার প্রদান করা হয়।     

এর আগে নিহত ট্রাফিক সদস্য নঈমুল হকের পরিবারকে সিএমপির অনুদান ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিপিএম, পিপিএম। এছাড়াও ট্রাফিক কল্যাণ ফান্ড থেকে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তারেক আহম্মেদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।          

    

এই বিষয়ে সার্জেন্ট প্রসিকিউশন মিজানুর রহমান বলেন, চলমান করোনা যুদ্ধে জীবন বিলিয়ে দেওয়া ১ পুলিশ সদস্য ও করোনায় আক্রান্ত ২ জন পুলিশ সার্জেন্টদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে আজ (২২ মে) পাঠানো এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য এবং ঈদের পোশাক।

তিনি আরো বলেন, নিহত ও আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের যে কোনো প্রয়োজনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক বন্দর শাখা থেকে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া এবং সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

সিএমপির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, হাতে ব্যাথা নিয়ে কনস্টেবল নঈমুল হক ২১ দিনের ছুটিতে গিয়েছিলেন। আগে থেকেই তার অ্যাজমার সমস্যা ছিল। ১৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে নঈমুল দামপাড়ায় পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হতে যান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় জেনারেল হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ১৫ মে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। তার বাড়ী কুমিল্লা জেলায়।